
জাহাঙ্গীর আলম, ইনানী :
উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকায় প্রভাবশালী ভূট্টো-নূর নবী বাহিনীর সিন্ডিকেটের বালিখেকুরা অবৈধ বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় বনবিভাগের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বেপরোয়া হয়ে অবৈধ বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে এ সিন্ডিকেটের সদস্যরা। লক্ষ লক্ষ কালো টাকার এ বালিখেকু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে প্রতিবাদ ছাপিয়ে যেনতেন ভাবে দায় এড়াতে অপচেষ্টা করে থাকে। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসন ও পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে চেপটখালী খাল থেকে বালি উত্তোলন অব্যাহত রাখায় তাদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দৈনিক আলোকিত উখিয়ায় সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা প্রশাসন ওই ভূট্টোবাহিনীর বালিখেকু সদস্যদের চেপটখালী খাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের সময় হাতে নাতে ডিজিটিাল ড্রেজার মেশিন জব্দ করে। তার পর থেকে কয়েকদিন ওই খাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ হলেও গেল কয়েদিন থেকে পরিবেশ আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বেপরোয়াভাবে আবারও বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। চোয়াংখালী এলাকার মৃত মো: হোসেনের পুত্র দূধর্ষ বালিদস্যু সিন্ডিকেটের প্রধান সাইফুল ইসলাম ভূট্টো ও চেপটখালীর নূর নবীর নেতৃত্বে ১০/১৫ একটি বিশাল বালিদস্যু সিন্ডিকেট গত বৃহস্পতিবার থেকে চেপটখালী খাল থেকে ৩০/৩৫ জন শ্রমিক লাগিয়ে দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে। আর এ সিন্ডিকেটের অন্যতম মৃত ইউছুপ আলীর পুত্র শামসুল আলম ও মো: আকতার, নুরুল হুদার পুত্র তারেক আজিজ, সুলতান আহমদের পুত্র মো: হোসেন, মৃত ছালে আহমদের পুত্র মো: আবদু, মনজুর, মুফিজুর রহমানের পুত্র রশিদ আহমদ, গোলাম কবিরের পুত্র আবদুল মান্নান, মোস্তাক খলিবা, মৃত হোসেন আহমদের পুত্র ফজল হক (বুতাইয়া), আলী আহমদের পুত্র ছৈয়দ উল্লাহ্ আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে প্রশাসনকে মাসিক মাসোহারার ভিত্তিতে বালি উত্তোলন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকায় এরা আবার প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক প্রকার অসহায় বোধ করেন। স্থানীয়রা জানান, চেপটখালী খাল থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণে খালের পাড় ভেঙ্গে শত শত পরিবার তাদের বসতবাড়ি হারিয়ে যেতে বসেছে। তারা অবিলম্বে এসব দুস্কৃতিকারী অবৈধ বালি উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
স্থানীয় সচেতন মহল, উপকূলীয় এলাকার খাল ও পাহাড় কর্তনকারী এসব পরিবেশ বিধ্বংসী লোকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতি দাবী জানিয়েছেন। হোয়াইক্ষ্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা সুনীল কুমার বড়–য়া বালি উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, বালি উত্তোলনকারী বালি উত্তোলন করে গাড়ি যোগে নিয়ে যাওয়ার সময় ৫ গাড়ি বালি জব্দ করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাঈনুদ্দিন জানান, চেপটখালী খাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের কথা শুনেছি। জরুরী ভিত্তিতে ওই এলাকার বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুসহ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত